
১। মুগ্ধবাংলাকে আরও কয়েক বছর আমি চালাবো, শত চেষ্টা করে হলেও। প্রতিবছর শারদীয়া ও নববর্ষ সংখ্যা বের করব, ছোট করে হলেও। সম্মানিত সদস্যরা যদি অংশগ্রহণ করতে চান, তাদেরও সাদর আমন্ত্রণ রইল।
২। মুগ্ধবাংলায় আজ থেকে সকল প্রকার অ্যাড ডিঅ্যাকটিভেট করা হল। এর কারণে আগামীতে আর কেউ লগিন করলে অ্যাড দেখতে পাবেন না, তবে, গেস্ট ইউজার অর্থাৎ লগিন করার আগে বা লগ আউট করার পরে দু-একটা অ্যাড হয়ত আপনারা দেখতে পাবেন, তবে লগিন করলে কোনো রকম ভাবেই আর অ্যাড ডিসপ্লে হবে না। এর ফলে অ্যাড ভিউএর কারণে যে ক্রেডিট আমরা দিচ্ছিলাম (প্রতি ৫টি অ্যাডের জন্য ১ ক্রেডিট), সেটি আর কাউকে দেওয়া হবে না।
৩। মুগ্ধবাংলায় প্রতিদিন যে লগিন ক্রেডিট দেওয়া হচ্ছিল (২৪ঘন্টায় প্রথমবারের জন্য ৫ ক্রেডিট, দিনের প্রথমবার হিসাবে ৩ক্রেডিট), তা এখন থেকে বন্ধ করা হল।
৪। আপনার অ্যাকাউন্টে যে ক্রেডিট রয়েছে, আপনি খরচ করুন বা না করুন, আগামী ৩১লা মার্চ ২০২৪ তারিখে তা ভ্যানিশ হয়ে যাবে বা বলা যেতে পারে তার কোনো ভ্যালু আমাদের মুগ্ধবাংলা সাইটে রইবে না। তবে শুধুমাত্র যারা পেমেন্ট করে ক্রেডিট ক্রয় করেছেন, তাদের ক্রেডিটই থাকবে, তাও (সকল ডাউনলোডের জন্য ব্যবহৃত ক্রেডিট - ক্রয়করা ক্রেডিট) এই হিসাবের পর যদি অবশিষ্ট ক্রেডিট থাকে তবেই; এই হিসাবে লগিন ক্রেডিট ও অ্যাড ক্রেডিট ধরা হবে না।
এবার আসি আসল কথায়। হয়ত আপনাদের মনে হতে পারে, আমি এডমিন, স্বেচ্ছাচার করতেই পারি, কিন্তু তাই বলে বারবার আমি যে বলেছিলাম, মুগ্ধবাংলার প্রতিটি সদস্যের অ্যাকাউন্টের ক্রেডিট আমার তাদের কাছের ঋণ, সেই কথার কী হল। হ্যাঁ, বন্ধুরা, আমাকে আমার কথার খেলাপ করতেই হচ্ছে, আর করতে হচ্ছে বহু দুঃখ ও মনোঃকষ্ট বুকের মধ্যে চেপে রেখে। কারণ আগেরবার যখন বইচুরি ঠেকাতে সদস্য ব্যান করার পদক্ষেপ নিয়েছিলাম, তার পর থেকে মুগ্ধবাংলার এক বা একাধিক সদস্য একা বা দল বেঁধে মুগ্ধবাংলার ক্রেডিট সিস্টেমটিকে অপব্যবহার করার জন্য আটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছিল। একাধিক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সহ বিভিন্ন চৌর্যবৃত্তির অ্যাপের মাধ্যমে অ্যাকাউণ্ট খুলে মুগ্ধবাংলাকে ঘুণপোকার মত খেয়ে ফেলতে লেগেছে। কয়েকদিন আগে একজন (নাম বলব না) মেল করে আমাকে আমার ও শরদিন্দুর অনুবাদ করা কয়েকটি বইএর প্রচ্ছদের নমুনা পাঠায় লিঙ্কসহ। পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে, মুগ্ধবাংলার "অরিজিনাল রিলিজ" লোগো তুলে ফেলে নিজের সাইটের ছাপ্পা মেরে দেদার শেয়ার করেছে সেই বইগুলি। আর মজার ব্যাপার কি জানেন, এর আগে যখন ৫০০র বেশী ক্রেডিট যাদের অ্যাকাউন্টে আছে, তাদের দৈনিক বোনাস দেব না এই মর্মে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম, (দৈনিক লগিন বোনাস সংক্রান্ত ঘোষণা -১৪ই মে,২০২২) তখন থেকে তারা মুগ্ধবাংলায় প্রকাশিত পরবর্তী কমিকসগুলি শেয়ার করা বন্ধ করে দেয়। অর্থাৎ, তারা সাবধান হয়ে যায়। এ থেকেই প্রমানিত হয়, তারা আর সদস্যপদ হারানোর মত ভুল করতে চায় না মোটেই, আর এরকম চুরি থেকেও তারা পিছপা হবে না! আপনারা অনেকে হয়ত কমেন্ট করে বলবেন চোর ধরে, তাদের ব্যান করতে, কিন্তু ওদের ধরে কী লাভ বা ব্যান করে কী লাভ? আপনাদের অনেকেই যে ওদের সঙ্গ দিয়েছেন, তার প্রমাণ আমার ওই পোস্টে, যেখানে আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গীতে ব্যাখ্যা করেছি, কেন ক্রেডিট থাকা সত্ত্বেও অনেকের ডাউনলোডে কোনো আগ্রহ নেই।
যাই হোক, ওদের নিয়ে আমার আর মাথা ব্যাথা বাড়িয়ে লাভ নেই, বরং আমার ভবিষ্যত পরিকল্পনা তাদের জানিয়ে দিই---
* মুগ্ধবাংলা যেমন চলছিল তেমনই চলবে, যেমন নতুন নতুন বই অনুবাদ নিয়ে হাজির হচ্ছিল তেমনই হাজির হবে, কাউকে ব্যান বা চোর বানানোর রাস্তায় যাবে না। তবে যদি মনে হয়, কাউকে ব্যান করা একান্তই দরকার, কোনো ওয়ার্নিং ছাড়াই ব্যান করে দেবো, দ্বিতীয় কোনো সুযোগ বা অজুহাত দর্শানোর সুযোগ কাউকে দেবো না।
**আগামী কয়েকমাস ধরে মুগ্ধবাংলার সফটওয়ার আপডেট করা হবে, সে কারণে সাইটে হয়ত মাঝে মাঝে এরর পেজ দেখাতে পারে, বা, লাগাতার দিন কয়েকের জন্য বন্ধও হয়ে থাকতে পারে। তাই সকলকে অনুরোধ, যদি কোনো বই আপনার ডাউনলোড করার ইচ্ছে থেকে থাকে, তবে অতিশীঘ্র তা ডাউনলোড করে নিন।
আর একটি অনুরোধ, ক্রেডিট সিস্টেম তুলে দেবার পর, নতুন কোন সিস্টেমে মুগ্ধবাংলা আসবে, তা এখনও ভেবে উঠতে পারিনি। কারণ শুধুমাত্র পেইড মেম্বার নিয়ে চলতে গেলে, বাংলাদেশের প্রচুর সদস্য হারাবো। আবার আবার ওদের ধরে রাখার জন্য ফ্রি লগিন বোনাস বা ইউজার এড সাপোর্ট সিস্টেম রাখলে, বইচোরেদের হুড়োহুড়ি লেগে যাবে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট বানানোর জন্য। তাই মধ্যবর্তী কোনো পন্থা বের করে উঠতে পারিনি এখনও। আপনারা ইচ্ছে হলে সাজেশন দিতে পারেন।
আজ অনেকদিন পর, আপনাদের বিমর্ষ করে, যার পর নাই খুবই বিব্রত হলাম।